ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি এবং ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি প্রাণ হারিয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৬৬১ শিশু রয়েছে। এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৬০ জন।
গাজার ওই স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান,ইসরাইলের হামলায় গাজার ৭টি হাসপাতাল ও ২১ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছে। ইসরাইলের গোলাবর্ষণে এ পর্যন্ত ৪৬ জন স্বাস্থ্য কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইলের এহেন কমকাণ্ডকে 'নির্মম হত্যাযজ্ঞ' বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজার আল-ওমারি মসজিদ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এটি ছিল ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম এবং সপ্তম শতকের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।
এদিকে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীর থেকে ৫৪৮ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দাবি, এদের মধ্যে ৩৭৫ জন হামাসের সদস্য। গত রাতে গাজার প্রায় ১০০ স্থানে হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানায় আইডিএফ।
প্রসঙ্গত, আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত ৭ অক্টোবর স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে গাজায় অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। শুধু তাই নয়, গত বছর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে সামরিক অভিযান দেশটির সেনাবাহিনী। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ভূখন্ডে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রকেট হামলা চালায় হামাস। আর এর জবাবে এখনো বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।