রাজপথে জনসভা হলে জনগণের চলাচল বিঘ্নিত হয়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি জনসাধারণের শান্তি ও স্বস্তি যেন অক্ষুণ্ন থাকে। সেক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিচার বিশ্লেষণ রয়েছে। ঝুঁকি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ রয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি-এসি-ডিসিরা বাস্তবতা পরীক্ষা করে আমাদের রিপোর্ট দিলে এরপর সমাবেশের অনুমতি দেয়া না দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বললেন ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি, গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ ও মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকেছে জামায়াত ইসলামী। পাশাপাশি তিনটি দলের এমন সমাবেশ ঘিরে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে। এ বিষয়ে কথা বলেছে পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, রাজধানীতে সমাবেশ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো আবেদন করেছে। জনসাধারণের জানমালের ঝুঁকি ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় জনগণের নিরাপত্তা বড় করে দেখি। জনগণের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রেখে আমাদের ফোর্স ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থা রেখে, যাদের সমাবেশ তাদের বিষয়টিও মাথায় রেখে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা যেকোনো সমাবেশেই নিরাপত্তাজনিত হুমকির কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ বা পরিকল্পনা করে থাকি। আগামী সমাবেশেও সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেকোনো ধরনের নৈরাজ্যকে প্রতিহত করা হবে।
এসময় সমাবেশ ঘিরে কোনো রাজনৈতিক দল নিয়ম ভঙ্গ করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।