আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বর্ষবরণের আয়োজন রমনার বটমূলে

বর্ষবরণের আয়োজন রমনার বটমূলে

বাংলা নববর্ষকে আহ্বান জানানোর জন্য সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট রমনার বটমূলে সুর ও বাণীর আয়োজন করে আসছে সেই ১৯৬৭ সাল থেকে। প্রথমবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে এরপর করোনা মহামারির জন্য গেলো দুই বছরে এ আয়োজন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

এ বছর মহামারির দাপট কমে আসায় এবার বরাবরের মতো রমনার বটমূলে ফেরার আয়োজন করছে ছায়ানট। মাসাধিককাল ধরে দলীয় পরিবেশনার মহড়ার মাধ্যমে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে বটমূলের বরাদ্দ চেয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদনও করা হয়েছে।  

গেলো শনিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে ধানমন্ডির ছায়ানট–সংস্কৃতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছায়ানটের সভাপতি বরেণ্য সংগীতজ্ঞ সানজীদা খাতুন বলেন, আগ্রাসী করোনাকে দমাতে প্রায় দু’বছর সকলেই গৃহবন্দি ছিলো। এ এক বাস্তবিক মানবিক-সামাজিক-মানসিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়কাল। সব শেকল ভেঙে বিশ্বজুড়েই আজ নব আনন্দে জেগে উঠবার আহ্বান।

তবে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ও স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় রেখে এবারের আয়োজনে শিল্পী সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ছায়ানটের পক্ষ থেকে।  

সংবাদ সম্মেলনে সানজীদা খাতুন আরও বলেন, বাংলা বর্ষবরণ এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বিশ্ববাঙালির প্রধান প্রাণের উৎসব, বাঙালি ঐতিহ্যের অঙ্গ। তার প্রত্যাশা, বটমূলে অর্ধশতাধিক বছরের এ উৎসবের ধারায় বাঙালির প্রত্যাবর্তন হবে সংযমী, প্রাণবন্ত, আনন্দঘন এবং বিপর্যয় বিনাশের অঙ্গীকারে বলীয়ান। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণভাবে ছায়ানটের বর্ষবরণের মঞ্চে কমবেশি সোয়াশো শিল্পী থাকে। তবে স্বাস্থ্যবিধি বিবেচনায় রেখে এবার শিল্পীসংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে দলীয় পরিবেশনার মহড়া।  

অনন্যা চৈতী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বর্ষবরণের | আয়োজন | রমনার | বটমূলে