বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে করতে প্রথমে রাজি হয়েছিলেন তরুণী। তবে ওই পাত্রকে পছন্দ হয়নি তার বন্ধুদের। আর তা শুনে বিয়েই ভেঙে দিলেন তরুণী।থানায় গিয়ে বিয়ে বাতিল করে দেন। এর পরিণতিও হয়েছে মর্মান্তিক। বাড়িতেই ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ভারতের তামিলনাড়ুর রানিপেট গ্রামের। শুক্রবার সেখানে ঘরের ভেতর থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, কিছু দিন আগে তরুণী নিজেই নিজের বিয়ে বাতিল করেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তা নিয়ে তার মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল। তবে কেন তার মৃত্যু হলো, তিনি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ২০ বছরের ওই তরুণীর সঙ্গে তারই এক দূর সম্পর্কের তুতো দাদার বিয়ে ঠিক করেছিলেন তার বাবা-মা। তরুণীর চেয়ে পাত্রের বয়স ১০ বছর বেশি। প্রথমে সেই বিয়েতে সায় দিয়েছিলেন তরুণী। গেলো ২৯ নভেম্বর বিয়ের দিন ঠিক হয়।
বিয়ের দিনের ঠিক দুদিন আগে থানায় গিয়ে পাত্রী পুলিশকে জানান, ওই পাত্রকে তিনি বিয়ে করতে চান না। কারণ হিসেবে তরুণী পুলিশকে জানান, তার বন্ধুবান্ধবদের পাত্র পছন্দ হয়নি। তিনি নিজেও ১০ বছরের বড় কাউকে বিয়ে করতে চান না।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে অশান্তি আরও বাড়ে। পরিবারের লোকজন তরুণীর প্রতি রুষ্ট হন। তরুণীও আর বাড়ি ফিরবেন না বলে জানান। পুলিশ সরকারি ভাবে তাকে আশ্রয় দিয়েছিল। পরে তরুণী নিজেই আবার বাড়ি ফিরতে চান। বাড়ি যাওয়ার পরেই তার মৃতদেহ মেলে। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ।