চেক প্রজাতন্ত্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৫ জন। নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ও তার বাবাও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির রাজধানী প্রাগের চার্লস ইউনিভার্সিটিতে ভয়াবহ এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। দেশটির পুলিশ প্রধান ভন্ড্রাসেক ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হামলাকারী চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের একজন শিক্ষার্থী। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে আত্মহত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বাইরে থেকে প্রাগে এসেছিলেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনের চতুর্থ তলা থেকে গুলিবর্ষণ শুরু করেন।
পুলিশ প্রধান আরও জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় ব্যাপক অভিযান। পরে ইউনিভার্সিটির ভেতরে অস্ত্রের একটি বড় মজুত আবিষ্কার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে বাকি ১৪ জনকে হত্যার পরে হামলাকারী আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।
ভন্ড্রাসেক বলেন, হামলাকারী ওই শিক্ষার্থী খুবই মেধাবী ছিলেন ও তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি এমন কাজ করেছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘটনার আগে প্রাগের বাইরের একটি অঞ্চলে এক নারী ও তার দুই মাস বয়সী সন্তানকে একটি জঙ্গলে গুলি করে হত্যার জন্য একই শিক্ষার্থীকেই সন্দেহ করছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পরে শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বন্দুকধারীর হোস্টউন এলাকার বাড়ি থেকে তার বাবাকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের দেশ চেক প্রজাতন্ত্রে এমন ভয়াবহ বন্দুক হামলা এই প্রথম। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পিতর পাভেল।
