টাঙ্গাইলে ভূঞাপুরে বিয়ের চার মাসের মাথায় প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রেখে আসা হয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী রেশমী খাতুনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার শেষ সীমানা চর ডাকাইতাবান্দা এলাকা থেকে নিহত স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত স্বামী টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ছেলে নাঈম হোসেন (২০)।
এই ঘটনায় পরকীয়ায় অভিযুক্ত প্রেমিক মাসুদ (৩৫) ও নিহতের স্ত্রী রেশমি খাতুনকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুদ অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এবং নিহত নাঈম হোসেনের স্ত্রী রেশমি খাতুন একই ইউনিয়নের রামাইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
জানা যায়, নাঈম ও রেশমি প্রায় চারমাস আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। গেলো ১৯ ডিসেম্বর স্ত্রী রেশমিকে নিয়ে নাঈম রামাইলে শ্বশুর বাড়িতে যায়। একইদিন রেশমি নাঈমকে নিয়ে বিকালে ঘুরতে বের হয়। এরপর রাতে রেশমি বাবার বাড়ি গিয়ে জানায় তার স্বামী নাঈম চলে গেছে। তারপর থেকে নাঈমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ গ্রেপ্তারকৃত রেশমির বরাত দিয়ে জানায়, রেশমি পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। সে তার প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
রেশমি ওই দিন স্বামী নাঈমকে নিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী চরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। এরপর সরিষাবাড়ি সীমান্ত এলাকায় গিয়ে প্রেমিকের সহায়তায় নদীর পানিতে চুবিয়ে হত্যার পর মরদেহটি বালুচাপা দিয়ে রেশমি বাবার বাড়িতে ফেরত যায়।