জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে এমন অভিযোগে ১১৬ ওয়ায়েজিনের (ধর্মীয় আলোচক) একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (১১ মে) দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লার কাছে ১১৬ জন দর্মীয় বক্তার তালিকা তুলে দেয়া হয়। গণকমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ সময় উপস্থিত ছিল।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠান হেফাজত আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী।
এতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, সরকার যদি এখনই শক্ত হাতে তথাকথিত এই ‘ভুঁইফোঁড় সংগঠনকে’ দমন না করে তাহলে ইসলাম প্রিয় আপামর তৌহিদী জনতা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
বাবুনগরী বলেন, আমরা আজ ঘাদানিকের সমন্বয়ে গঠিত তথাকথিত গণকমিশনের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই সংগঠনটি বরাবরের মতোই নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী চেহারা জাতির সামনে উন্মোচিত করেছে। তাদের এই শ্বেতপত্র যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্যে ভরপুর, এটি সমগ্র দেশবাসীর সামনে দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
হেফাজত আমীর বলেন, এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নানাভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়ে আসছে। সবশেষ তারা দেশবরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ এবং ইসলামি আলোচকদের এ তালিকা প্রকাশ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসলামি আলোচকদের নামে অমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তথাকথিত গণকমিশনের দায়িত্বশীলরা নিজেদের গ্রহণযোগ্যতাই হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। অতএব যারা এসব উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করছেন, সরকার যেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করে।
তিনি আরও বলেন, ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি ও আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের উত্তম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথনির্দেশ করা হয়।
হেফাজত আমির বলেন, আজ দেশ ও জাতির জন্য পরম কল্যাণকর এ কাজটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে তথাকথিত গণকমিশন।
