এশিয়া

মুহুর্মুহু বোমা হামলার মাঝেই বিয়ের আনন্দ

মুহুর্মুহু বোমা হামলার মাঝেই বিয়ের আনন্দ
ইসরায়েলি বাহিনীর মুহুর্মুহু বোমা হামলা। প্রচণ্ড শব্দে কাঁপছে আকাশ-বাতাস।চারদিকে বারুদের গন্ধ আর মাটিতে মৃত্যুমিছিল।গাজায় এমন পরিস্থিতির মধ্যেও একটি তাবুর মধ্যে বিয়ে সারলেন ফিলিস্তিনের দুই তরুণ-তরুণী। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্য গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়,  মিসরের সীমান্তবর্তী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাবুর মধ্যে ওই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।সাদা ধবধবে পোশাক পরা কনে শাহাদের আঙ্গুলে বিয়ের আংটি পরিয়ে দেন ফিলিস্তিনি বর মোহাম্মদ আল গান্দুর।এসময় দুই পক্ষের আত্মীয় স্বজন হাততালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়। বর মোহাম্মদ আল গান্দুর আশা ছিল তার বিয়ের অনুষ্ঠান হবে অত্যন্ত জাকজমক ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে। তবে ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ তার সেই আশা পরিনত হয় নিরাশায়। যুদ্ধ শুরুর পরই তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়।বিমান হামলায় তাদের দুই পরিবারের অনেক সদস্য ও স্বজন মারা যান। হামলার দুই মাস পর অবশেষে মিসর সীমান্তবর্তী গা্জার রাফায়  তাবুর মধ্যেই তাদের বিয়ে হয়।বর্তমানে সেখখানেই তারা বসবাস করছেন। রাজকীয় বিয়ের উৎসব,জমকালো আয়োজনে রিসিপসন পার্টি যেখানে বন্ধু, আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা যোগ দিবেন-এমন আশা করেছিলেন গান্দুর। তিনি বলেন,এভাবে বিয়ে হওয়ায় মাত্র ৩ভাগ সুখী হয়েছেন তিনি।তবে স্ত্রীকে সুখী রাখতে তিনি সবসময় প্রস্তুত রয়েছেন। মোহাম্মদ আল গান্দুর ওই বিয়েতে দুই পক্ষের আত্মীয়দের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় তারা সবাই গাজা শহর থেকে পালিয়ে রাফায় আসতে পেরেছিলেন। এভাবে বিয়ের জন্য দুই পরিবারের লোকজন প্রস্তুত ছিলেন না। বিয়ে উপলক্ষ্যে দুই পরিবারই যথেষ্ট খরচ করেছেন। শাহাদের বিয়ের পোশাক কিনতেই খরচ হয়েছে দুই হাজার মার্কিন ডলার,বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই লাখ ২০ হাজা্র টাকা।বিয়ের পর কনের মা উম্মে ইয়াহিয়া খালিফা আফসোস করে বলেন,তার স্বপ্ন ছিলো শাহাদের সবচেয়ে সুন্দর বিয়ের আয়োজন,পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিয়ের আসর ।শাহাদের বিয়ের সবকিছু তারা আয়োজন করেছিলো এবং শাহাদ এজন্য খুব খুশী হয়েছিল।তবে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মুহুর্মুহু | বোমা | হামলার | মাঝেই | বিয়ের | আনন্দ