জুন মাসে দেখা যাবে স্ট্রবেরি মুন। যা নিয়ে মানুষের মাঝে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। কেননা, এই মহাজাগতিক দৃশ্য সব সময় দেখা যায় না। স্ট্রবেরি মুনের সৌন্দর্য্য সবাইকেই বিমোহিত করে।
এ বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হচ্ছে স্ট্রবেরি মুন। এছাড়াও বছরটিতে দেখা মিলবে, সুপার মুন, ব্লাড মুন, পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ।
সারা বছরই চাঁদের বিভিন্ন সব রূপ দেখতে আগ্রহী থাকে পৃথিবীবাসী। তার ওপর ২০২৪ সালে জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে এসেছে। কারণ এ বছর আকাশে উল্কাপাত, সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
আগামী ২১ জুন, এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যাবে। সলিসটাইস এরপর ২১ তারিখই প্রথম ‘ফুল মুন’ বা পূর্ণিমা। আর এই দিনই পূর্ণ আকার-আয়তনে পৌঁছাবে চাঁদ।
তবে এবারের ফুল মুনকে কিন্তু সুপারমুন বলা হবে না। যদিও সাধারণ দিনে চাঁদের যে আয়তন থাকে, ২১ জুন তার থেকে কিছুটা বড়ই লাগবে চাঁদকে। স্প্রিং সিজন বা বসন্তের শেষ ফুল মুন কিংবা পূর্ণিমা এবং সামার সিজনের প্রথম পূর্ণিমায় এই ‘স্ট্রবেরি মুন’ দেখা যায়।
গেলো ২১ জুন থেকে উত্তর গোলার্ধে সামার সিজন শুরু হয়েছে। এই বিশেষ দিনে সবচেয়ে বড় দিন দেখা যায় উত্তর গোলার্ধে। সামার সলিসটাইসের সঙ্গে স্ট্রবেরি মুন সংযোগ ঘটে ২০ বছরে একবার।
কেন এই চাঁদের নাম স্ট্রবেরি মুন?
এই স্ট্রবেরি মুন প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন প্রাচীন আমেরিকান উপজাতির মানুষরা। স্ট্রবেরি চাষের মৌসুমের শুরুতে প্রথমবার এই চাঁদ দেখেছিলেন আমেরিকার ওই প্রাচীন উপজাতির মানুষরা।
তারপর থেকেই এই চাঁদকে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। অন্যান্য অনেক দেশে জুন মাসের এই ফুল মুনের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন- ইউরোপে এই চাঁদকে বলা হয় রোজ মুন।
কারণ এই সময় থেকে ইউরোপে গোলাপের চাষ শুরু হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে এই চাঁদের নাম ‘হট মুন’। কারণ এই সময় থেকে গরম কাল শুরু হয় উত্তর গোলার্ধে।