নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ তিন বছর বয়সী এক শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারের আব্দুর শুকুরের কক্ষের বারান্দায় থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন আহত হন। পরে অন্য ক্লাস্টারের বাসিন্দারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক।
নিহত শিশুর নাম রাসেল। সে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা আজিজুল হকের সন্তান।
আহতরা হলেন- ৮১নং ক্লাস্টারের সফি আলমের মেয়ে মোবাশ্বেরা (৩), আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্যাহ (১৫), আবদুর শুক্কুরের মেয়ে রশিদা (৩), আজিজুল হকের মেয়ে জোবায়েদা (১১), আমেনা খাতুন (২৪), মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে সফি (১২), সফি আলমের ছেলে রবিউল (৫), আজিজুল হকের ছেলে সোহেল (৫) ও রাসেল (৩)। এদের মধ্যে রাসেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এর আগে ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভুঁইয়া জানান, সকালে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারের আব্দুর শুকুরের কক্ষের বারান্দায় থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ হয়। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন আহত হন। পরে অন্য ক্লাস্টারের বাসিন্দারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রথমে ৯ অগ্নিদগ্ধকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে রাসেল নামের এক শিশু মারা গেছে।’
এএম/