নিজের স্ত্রীকে খুন করে ঘরের মধ্যেই চার দিন ফেলে রেখেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হতেই শোরগোল পড়ে যায় প্রতিবেশীদের মধ্যে। তখন ওই ব্যক্তি নিজেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের জানান, তার স্ত্রীকে তিনি খুন করেছেন। পুলিশকে ফোন করে জানাতেও বলেন প্রতিবেশীদের। পুলিশ এসে তদন্তে নেমে মৃতার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে সন্দেহ হয়। জেরার মুখে স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গাজিয়াবাদের একটি আবাসনে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভরত সিংহ নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে ওই আবাসনের এক ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। শনিবার বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে সুনীতার (৫১) দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গাজিয়াবাদের উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার নরেশ কুমার বলেন, প্রতিবেশীরা আমাদের জানিয়েছিলেন যে ভরত তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন। সেই খবর পেয়ে আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পাই। খুনের ঘটনাটি অন্তত দিন চারেক আগে ঘটেছে। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।
কেন ভরত তাঁ স্ত্রীকে খুন করলেন তা-ও পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে ভরতের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সুনীতার। সেই ঝামেলা সপ্তমে চড়ে। ঝামেলার মাঝেই স্ত্রীকে হত্যা করেন ভরত। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এক প্রতিবেশী সংবাদমাধ্যমে বলেন, যত ক্ষণ না ভরত চিৎকার করে আমাদের জানান তত ক্ষণ আমরা খুনের ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। খুনের পর অন্তত চার-পাঁচ দিন দেহ বাড়িতে পড়ে ছিল।
আর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ভরত ফ্ল্যাটের বাইরে এসে চিৎকার করে বলতে থাকে ‘আমি আমার স্ত্রীকে খুন করেছি, পুলিশকে খবর দাও, আমাকে গ্রেপ্তার করো। আমরা তা শুনে পুলিশকে খবর দিই।’