গরমের মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখার সহজ উপায় হল পানি। এ সময় ভাজাভুজি, তেল-মশলাদার খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সঙ্গে যোগ করতে হবে বেশি করে ফল। শুধু ফল খেলেই আবার হবে না, এমন ফল খেতে হবে যাতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণের সঙ্গে পানিও যেতে পারে। ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে এবং শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মিত কোন ফল খেতে হবে চলুন জেনে নেয়া যাক।
শসা: শসায় পানির মাত্রা ৯৫ শতাংশ। ফল হিসেবে কাঁচা খাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ শসা দিয়ে নানা পদ রান্নাও করে ফেলেন। এই সময়ে শসার মতো খাবার কমই আছে। শরীর ঠান্ডা রাখে, পেট ভর্তি করে। ত্বকের জন্যও এই ফল দারুণ উপকারী।
তরমুজ: এই ফলের প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। শরীরে পানির জোগান দিতে যথেষ্ট পরিমাণে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি। ক্যালোরির মাত্রাও কম। তাই তরমুজ খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয়ও নেই। তা ছাড়া, ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্যও এই ফল ভাল।
ফুটি: এতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। মিষ্টি গন্ধে ভরা ফুটির পুষ্টিগুণ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ দেয় এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর ফুটির বীজ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
আনারস: এই ফলে পানির মাত্রা ৮৬ শতাংশের কাছাকাছি। টক-মিষ্টি স্বাদের এই খাদ্যের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। বসন্তে ভাইরাল সংক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন ভিটামিন সি খাওয়ার। গরমের সময় শরীর চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে এই ফল খাওয়াই যায়।
কমলালেবু: শীতকালীন ফল হলেও এখনও বাজারে কমলালেবু ভালই চোখে পড়ছে। এই ফলেও প্রায় ৮৬ শতাংশ পানি থাকে। ভিটামিন সি-তে ভরপুর এই ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফাইবারেরও ভাল উৎস এই ফল। ওজন ঝরানোর ডায়েটেও এই ফল রাখা যেতে পারে।