রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় একজন ব্যারিস্টার তার রক্ষিতাকে নিয়মিত ধর্ষণ করাতো। আর এই অপকর্মের জন্য রক্ষিতাকে টানা ২৫ দিন শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতো ওই ব্যারিস্টার।
রোববার (৩১ মার্চ) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২৩ বছর বয়সী এ তরুণী বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় প্রেমিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ সান, হিমেল এবং সালমা নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সকাল সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক ব্যারিস্টারের নাম প্রকাশ না করে জানান, অভিযুক্ত ব্যারিস্টার মোহাম্মদপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে এক তরুণীকে রক্ষিতা হিসেবে রাখতো। ওই তরুণীর সঙ্গে সালমা নামে একজন পরিচারিকাকেও রাখতো সে। তাদের থাকা খাওয়ার সব খরচ বহন করতো ব্যারিস্টার। প্রায়ই লন্ডন যাতায়াত করতো ব্যারিস্টার। যখন সে ঢাকায় থাকতো তখন তরুণীকে ধর্ষণ করতো।
এভাবে চলতে থাকার এক পর্যায়ে নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে দুজন যুবকের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নির্যাতিতা তরুণী। ব্যারিস্টার এসব ঘটনা জানতে পেরে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
প্রতিশোধের কৌশল হিসেবে তার পরিচারিকা সালমাকে বলে যখন ওই তরুণী যুবকদের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করে তখন যাতে ভিডিও করে রাখে। তার নির্দেশ মতো গৃহপরিচারিকা সালমা ওই তরুণীর সঙ্গে যুবকদের শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও করে। পরে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে তরুণী প্রতিবাদ করে। তখন তরুণীকে শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতন শুরু করে ব্যারিস্টার। এভাবে ২৫ দিন ধর্ষণ করিয়ে ভিডিও করার পরে ত্রিপল নাইনে একদিন কল দিয়ে তরুণী পুলিশের সাহায্য চায়। খবর পেয়ে পুলিশ মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে নির্যাতিত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। এই অপরাধে জড়িত ব্যারিস্টারসহ অন্যান্য অপরাধীরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এএম/