শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে পাপুয়া নিউগিনিতে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলে ৬.৫-মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তবে সুনামির কোনো হুমকি নেই বলে মার্কিন ভূমিকম্পবিদরা জানিয়েছেন।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫৬ মিনিটে আঘা হানা এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নিউ ব্রিটেনের দ্বীপের কিম্বে থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার (৬৮ মাইল) পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠের ৬৪ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সুনামির কোনো হুমকি নেই’। অবশ্য স্থানীয়ভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গেলো মাসে পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ সেই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও সহস্রাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিকম্পের ঘটনা বেশ সাধারণ। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত। এছাড়া টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ঘর্ষণের কারণে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের জন্য এই অঞ্চলটি একটি হটস্পট।
এর আগে গেলো মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপে পাপুয়া নিউগিনি। সেসময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটির কিম্বে শহরের দক্ষিণ-পূর্বে গভীর রাতে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এছাড়া গেলো বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। যদিও ভূমিকম্পের জেরে সেসময় সুনামির কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
এর আগে গেলো বছরের এপ্রিলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির একটি জঙ্গল ঘেরা এলাকায় ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। আর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে দেশটিতে প্রাণ হারান ১০ জন।
তারও আগে ২০১৮ সালে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পাপুয়া নিউগিনিতে। সেসময় দেশটিতে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারায় এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।