ঈদুল ফিতরের ছুটির পর টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। বুয়েটে পুনরায় ছাত্ররাজনীতি চালুর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা এসব বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ২২তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় অংশ নেননি বলে জানা গেছে। এর আগে গতকাল বুধবারে ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষায় মাত্র ৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেন। বাকি ১২৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে একটি হলে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা পর ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হয় বুয়েটে। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী রাতের আঁধারে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান, এমন অভিযোগ এনে জড়িতদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছাত্ররা টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেন। পরে বুয়েটের হল থেকে ইমতিয়াজ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর সিট (আসন) বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এরই মধ্যে রাজনীতি নিষিদ্ধে বুয়েট কর্তৃপক্ষের জারি করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেন রিট করেন ইমতিয়াজ। পরে এর শুনানি নিয়ে গেলো ১ এপ্রিল ওই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত ও ইমতিয়াজকে সিট ফিরিয়ে দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। তবে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পক্ষে। সে মর্মেই তারা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এএম/