আবারও টাইব্রেকারে পেনাল্টি শ্যুট আউট এবং এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ঝলক। দেশ ও ক্লাবের হয়ে এ নিয়ে মার্তিনেজ তাঁর ক্যারিয়ারে সর্বশেষ পাঁচটি টাইব্রেকারেই জিতেছেন। যার মধ্যে একটি ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালে।
ইউরোপা কনফারেন্স লিগে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটার সাথে কিছুটা যোগসূত্রও ছিলো বিশ্বকাপ ফাইনালের সাথে। মার্টিনেজের ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা খেলতে নেমেছিল ফ্রান্সের ক্লাব লিলের বিপক্ষে, তাদের মাঠে। ফ্রান্সের মাঠ হওয়ায় ফরাসি দর্শকরা মার্টিনেজকে সহ্য করতে না পারাটাই স্বাভাবিক।
মার্টিনেজও কম যান না! খেলার মধ্যে তৈরি করেছেন বিতর্ক। দেখেছেন দুইবার হলুদ কার্ড। তবে ছাড়তে হয়নি মাঠ। সময় নষ্ট করার জন্য ম্যাচের ২৮ মিনিটে দেখেন হলুদ কার্ড। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর পর চিরায়ত ‘মাইন্ড গেম’খেলা শুরু করেন আর্জেন্টাইন তারকা। তার গেমেই প্রথম শট লক্ষ্যভেদও করতে ব্যর্থ হন বেনতালেব।
পেনাল্টি ঠেকিয়েই গ্যালারির দিকে ঘুরে মুখে আঙুল দিয়ে দর্শকদের চুপ করার ইঙ্গিত দেন। ফরাসি দর্শকেরাও দুয়ো দিতে শুরু করেন মার্তিনেজকে। দুয়ো শুনে থেমে থাকেননি মার্টিনেজও টাইব্রেকারের মধ্যেই মাঠের এক কোনায় গিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিত করেন। তখন তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
কিন্তু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার পরও মাঠ ছেড়ে যেতে হয়নি মার্টিনেজকে। এমনিতে দুটি হলুদ পরিণত হয় লাল কার্ডে। কিন্তু ম্যাচের নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে দেখা কার্ড টাইব্রেকারে গিয়ে আর যোগ হয় না। ফুটবলের আইন প্রণেতা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) প্রণীত ১০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘ম্যাচে (অতিরিক্ত সময় সহযোগে) সতর্কবার্তা ও কার্ড পেনাল্টিতে বিবেচিত হবে না। ম্যাচে এবং পেনাল্টিতে (কিকস ফ্রম দ্য পেনাল্টি মার্ক/কেএফপিএম) হলুদ কার্ড দেখা খেলোয়াড় মাঠের বাইরে যাবেন না।’
ভিলা পার্কে প্রথম লেগ ২-১ গোলে জিতেছিল স্বাগতিকেরাই। ফিরতি লেগ লিল ২-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে দুই দল ৩-৩ গোলে সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে লিলের নাবিল বেনতালেব ও বেনঞ্জামিন আন্দ্রের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলের জয়ে ১৯৮২ সালের পর এবার প্রথমবারের মতো ইউরোপিয়ান কোনো বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠল অ্যাস্টন ভিলা।