আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মহিলা কারারক্ষী হতো বন্দীদের যৌনদাসী

মহিলা কারারক্ষী হতো বন্দীদের যৌনদাসী

ইসরায়েলের এক প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর যৌন হয়রানির অভিযোগে তোলপাড় ইসরায়েল। অবিলম্বে এ অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড।

আজ সোমবার (১ আগস্ট) ইসরালের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা টাইমস অব ইসরায়েল’র এক প্রতিবেন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

উত্তর ইজরায়েলের জেল গিলবোয়া। এখানকার সিংহভাগ বন্দিই প্যালেস্তাইনের। ওই জেলেরই এক প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ জেনেবুঝে বার বার তাকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন।

অনলাইনে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছেন ওই মহিলা কারারক্ষী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমাকে যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। বার বার বন্দিদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত যৌনদাসী করা হয়েছে। শুধু আমাকেই নয় আরও অনেক মহিলা কারাক্ষীকেই বাধ্য করা হতো এ কাজটি করতে।’

অভিযোগকারিণীর আইনজীবী কেরেন বারাক আদালতে জানান, তার মক্কেল অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারবেন। কিন্তু তার আগে তার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার প্রয়োজন।

গিলবোয়া কারাগারে মহিলা রক্ষীরা যে বন্দিদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন, এ অভিযোগে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু এর আগে রক্ষীদের কেউ এমন স্পষ্ট ভাবে অভিযোগ করেননি। গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে ছয় প্যালেস্তাইন বন্দি জেলের সুড়ঙ্গ দিয়ে বাইরে পালায়। এ নিয়ে শোরগোল হয় সে দেশে। এ ঘটনার তদন্তে সময়ই উঠে আসে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। যার মধ্যে অন্যতম হলো সেখানে নাকি পুরুষ রক্ষীরা মহিলা সহকর্মীদের ইচ্ছাকৃত ভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেন।

ওই প্রাক্তন মহিলা কারারক্ষীর অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। গেলো রোববার (৩১ জুলাই) ইয়াল ল্যাপিড তার মন্ত্রিসভায় বলেন, ‘এক জন রক্ষী তার কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা ধর্ষিতা হচ্ছেন, এমনটা কল্পনাও করা যায় না। অবিলম্বে এর তদন্ত শুরু করতে হবে। রক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব।’

এসি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মহিলা | কারারক্ষী | হতো | বন্দীদের | যৌনদাসী