ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় উত্তর কোরিয়া।
রোববার (১২ মে) এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয় ফিলিস্তিনের প্রতি এই সমর্থনের কথা জানায়।
সোমবার (১৩ মে) তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলুর দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। ওই প্রস্তাবে পূর্ণ সমর্থন আছে পিয়ংইয়ংয়ের। উত্তর কোরিয়া প্রত্যাশা করে, অচিরেই জাতিসংঘের ১৯৪তম পূর্ণ সদস্যপদ পাবে ফিলিস্তিন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নর্থ কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক প্রতিবেদনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলকে গণহত্যার মদদ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
এর আগে, গেলো ১৪ এপ্রিল ফিলিস্তিনের ওই প্রস্তাবে ভেটো দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা জানানো হয়। পরে ১০ মে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ওই প্রস্তাব পাস হয়। এর ফলে সাধারণ পরিষদ জাতিসংঘের মধ্যে ফিলিস্তিনের অধিকারসীমা আরও বাড়িয়েছে এবং সদস্য হিসেবে তাদের অন্তর্ভুক্তির দাবিকে আরও জোরালো করেছে।
ফিলিস্তিন ২০১২ সাল থেকেই জাতিসংঘের অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে। কিন্তু তারা পূর্ণ সদস্যের সুযোগ সুবিধা পায় না। এই সদস্য পদের বিষয়টি শুধুমাত্র নির্ধারণ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সম্প্রতি তাদের পূর্ণ সদস্য হওয়ার এক দফা চেষ্টায় ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুক্রবার সাধারণ অধিবেশনে যে ভোট হয়েছে সেটাকে দেখা হচ্ছে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তির পক্ষে সমর্থন হিসেবে।
ভোটের আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ এইচ. মানসুর বলেন, আমরা শান্তি চাই, আমরা স্বাধীনতা চাই, একটা হ্যাঁ ভোট ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের ভোট, এটা কোনো রাষ্ট্রের বিপক্ষে নয়। সাধারণ পরিষদে বেশ বড় ব্যবধানেই ভোটের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে নতুন অধিকার ও সুবিধা দিয়েছে জাতিসংঘ এবং একইসঙ্গে জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হিসেবে ফিলিস্তিনের অন্তর্ভুক্তির দাবিকে পুনরায় বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
আরব ও ফিলিস্তিনের আনীত এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৩টি, আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯টি রাষ্ট্র। যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ছাড়াও আছে আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, মাইক্রোনেশিয়া, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি ও চেক প্রজাতন্ত্র। এছাড়া ২৫টি রাষ্ট্র ভোট প্রদানে বিরত থাকে।
টিআর/