নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপুকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু এবং জাফর আহমদ চৌধুরী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলা করে সাইফুল আলম দিপুর ১০ জন কর্মীকে আহত করেছে অভিযুক্তরা। ওই দুই প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনেই এ সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইফুল আলম দিপু।
জানা যায়, অভিযুক্ত আবু জাফর টিপু সাবেক পৌর মেয়র। বর্তমানে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আর জাফর আহমেদ চৌধুরী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং এ দফায় হেলিকপ্টার প্রতীকে পুনরায় নির্বাচন করছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল আলম দিপু বলেছেন, নিশ্চিত পরাজয় জেনে জাফর টিপু এবং জাফর চৌধুরী তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচার করছেন।
তাদের হামলার ভয়ে দিপুর কর্মীরা নীরাপত্তাহীনতায় ভুগছে্ন। তারা নিজের অপকর্ম আড়াল করতে দিপুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানান, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই তাদের গণসংযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ব্যাপকভাবে উপস্থিত হচ্ছেন। এসব দেখে তার প্রতিপক্ষ জাফর টিপু এবং জাফর চৌধুরী তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে এক হয়েছে্ন।
দিপু অভিযোগ করেন, সাবেক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু মেয়র থাকাকালীন সময়ে জনগণকে কোন সুবিধা দিতে পারেননি। কারণ তিনি দিনের বেলায় ঘুমিয়ে থেকে রাতে অফিস করতেন। জনগণ এখন আর রাতের কাউকে উপজেলা পরিষদে দেখতে চায় না।
তিনি আরো বলেন, তাদের পরিবার সুনামের সাথে সেনবাগে রাজনীতি করছেন। যার স্বীকৃতি হিসেব গেলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনবাগবাসী তারা বাবা আলহাজ্ব মোরশেদ আলমকে এমপি নির্বাচিত করেছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশিল সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে সমর্থন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী ২১ মে সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
আই/এ