স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়ায় যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূরণে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে নিহত স্বজনদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অনার গার্ড প্রদান করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আবারও স্বজনদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
বনানী কবরস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এর আগে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এসি