জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার বয়স প্রায় ষাট ছুঁইছুঁই। কেবল বড় পর্দাতেই নয়, বাস্তবেও বাদশাহের চেহারায় তারুণ্যের ছোঁয়া স্পষ্ট। বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন তিন দশক। কিন্তু এখনও অনেক তরুণ অভিনেতার চেয়েও ফিট দেখায় শাহরুখকে। ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’-এ শাহরুখের ফিটনেসে মুগ্ধ হয়েছেন অনুরাগীরা। কী করে এ বয়সেও এতটা ফিট তিনি? কোন ডায়েট মেনে চলেন বাদশাহ?
পরিচালক ও নৃত্য প্রশিক্ষক ফারহা খান সংবাদমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ফাঁস করলেন শাহরুখ খানের ডায়েট প্ল্যান। শুনতে অবাক লাগলেও দুপুরে এবং রাতে শাহরুখের ডায়েটে নাকি একই খাবার থাকে। দু’বেলাই শাহরুখ গ্রিলড চিকেন বা তন্দুরি চিকেন খান। সাক্ষাৎকারে ফারহা বলেন, ‘‘আমি সালমান খানকে দেখেছি, ও সব খায়। ফিটনেস নিয়ে সচেতন হলেও ও ভাত, বিরিয়ানি, ছোলা সবই খায়। কিন্তু শাহরুখকে কখনওই ভাত-রুটি খেতে দেখিনি।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘আমি খুব সাধারণ খাবার খাই। একাধিক বার নয়, দিনে দু’ বার খাই আমি। এই বিষয় কিন্তু আমি ভীষণ কড়া। শুধুমাত্র দুপুর আর রাতে খাওয়াদাওয়া করি আমি। আমার ডায়েট থাকে অঙ্কুরিত ছোলা, গ্রিলড চিকেন, ব্রকোলি, ডালের মতো খাবার।’’
নো-সুগার ডায়েট মেনে চলেন বাদশা। চিনি, মিষ্টিজাতীয় কোনও খাবার ছুঁয়ে দেখেন না তিনি।
তবে ডায়েটে কেবল তন্দুরি চিকেন রাখা কি স্বাস্থ্যকর?
পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসের ভাল-মন্দ দু’দিকই আছে। রোজকার ডায়েটে তন্দুরি চিকেনের মতো উচ্চ প্রোটিন রাখলে পেশিশক্তি বৃদ্ধি হয়, বিপাকহার বাড়ে। এই ডায়েটে পেট সবসময় ভরাট থাকে, ভুলভাল খাবার খেতে ইচ্ছে করে না, তাই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ডায়েট। অন্য দিকে ডায়েটে ফল, শাকসব্জি, কার্বোহাইড্রেট না থাকলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ যায় না। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই ডায়েট করার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেয়া জরুরি। তিনি প্রয়োজন বুঝে ডায়েটে সাপ্লিমেন্ট যোগ করতে পারেন।
কেএস/