আফগানিস্তান শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে গেছে নিজেদের নিয়ে। এখন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে তারা শুধু ‘অংশ’ নেয় না। বড় কিছু করার সক্ষমতাও দেখিয়ে থাকে। যা সর্বশেষ ওডিআই বিশ্বকাপেও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। এবারও দারুণ এক দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে আফগানরা।
আফগানিস্তানকে নিয়ে বলা হতো, তারা স্পিনে খুবই ভালো। তাদের ব্যাটিং নিয়ে সাধারণত সংগ্রাম চোখে পড়ে। তবে দিনের পরিবর্তনে এমন আর নেই। দলের অধিনায়ক রাশিদ খান তো বেশ আত্মবিশ্বাসী।
উগান্ডার সাথে বিশ্বকাপ ম্যাচ শুরুর আগে রাশিদ জানিয়েছেন, 'অতীতে আমরা ব্যাটিং নিয়ে কিছু সংগ্রাম করতাম।'
'আগে আমাদের বোলাররা অনেক বেশি করতো এবং ম্যাচ জিততে সাহায্য করতো। পরে আমরা কিছু তরুণ ব্যাটারদের পেলাম। বিশেষ করে অনূর্ধ-১৯ ক্রিকেট থেকে। এবং যেভাবে তারা জাতীয় দলে এসেছে, তারা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করেছে, তারা আফগানিস্তানের হয়ে খুব অল্প বয়সে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এরপর পুরো বিশ্ব আবিষ্কার করা শুরু করেছে। তারা লিগগুলো খেলতে থাকে, ফলে আরো উন্নতি করতে পারে।'
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখন ২০০ রান করা যেন মামুলি হয়ে গেছে। বিশেষ করে সর্বশেষ আইপিএলে ব্যাটসম্যানরা যা দেখিয়েছে, তা তো বোলারদের কাঁপুনি ধরানোর মতোই। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত বেশি মারকাটারি খেলা হয় না। যদিও বলা যাচ্ছে চলতি বিশ্বকাপে তা কেমন থাকে।
রাশিদ বলেন, 'আমার মনে হয় আমাদের সেরকম ব্যাটিং লাইন-আপ আছে, যেখানে আমরা বলতে পারি, যদি উইকেটে ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রাও থাকে, তবুও কোনো অসুবিধা নেই।'
আফগানিস্তানের হয়ে স্পিনের হালটাও তো ধরবেন রাশিদ। লেগ স্পিনে কাবু করবেন প্রতিপক্ষকে। তিনি মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট পুরোটা মানসিকতার খেলা। মানসিকভাবে যখন ঠিক থাকছেন, আপনি কিছু করতে পারবেন- এটা বিশ্বাস করছেন, তখন সবকিছুই সম্ভব হয়ে উঠতে পারে।
এম/এইচ