পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা সদরের ঝলঝলি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গেলো সোমবার গভীর রাতে দুবৃর্ত্তরা বোদা পৌরসভার সাতখামার ঝলঝলি কবরস্থানের ১২টি কবরের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়।
আজ মঙ্গলবার ৬ সেপেট সকালে স্থানীয় সামসুল হক নামে এক ব্যাক্তি কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় কবর স্থানে বেশ কিছু কুকুর দেখতে পায়। কবরস্থানে ভিতরে এগিয়ে কবরের মাটি ও বাশঁ অন্যত্র দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার উৎসুক লোকজন ভীড় জমায়। খবর পেয়ে কবরস্থানের আত্মীয় স্বজনেরা তাদের মৃত স্বজনদের কবর দেখতে থাকে। পরে দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী, শিক্ষিকা তাহেরা খাতুন, তোফাজ্জাল হোসেন, হকিকুল, রমজানসহ ১২টি কবরের কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে যায়। লাইট মেরে কবরের ভেতরে কোন কঙ্কাল দেখতে পাননি স্থানীয়রা। খোলা কবর গুলোতে মৃতের স্বজনেরা মাটি দেন। রাতে কঙ্কাল চোরেরা তাদের ব্যবহৃত পড়নের কিছু কাপড় কবরের পাশে ফেলে যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলীর ছেলে রনি ও সোহেল জানান, দেশের জন্য বাবা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেন। তার কবর মৃতুর পরেও সুরক্ষিত নয়। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বোদা পাথরাজ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক সফিকুল ইসলাম জানান, আমার ভাবীর লাশটি নিয়ে যায়। তবে কবরস্থান গুলো সুরক্ষার জন্য রাষ্টিয় ও স্থানীয়ভাবে পাহারার দরকার। প্রয়োজনে চতুদিকে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা দরকার। উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এ নিয়ে তৃতীয় বারেরমত বোদা উপজেলায় তিনটি কবরস্থানে লাশ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে চন্দনবাড়ি ও ভাসাইনগর কবরস্থানে ১৮টি কঙ্কাল চুরি হয়েছিল।
