ছাত্রদের প্রতি স্যালুট, যারা পথে নেমে এসে রক্ত দিয়েছে। তবে সরকার মোড়লদের মতো ছাত্রদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে টাকা তুলে দেয়। বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জবাবদিহিতা আর বৈধতা নেই। সরকার একের পর এক ইস্যু তৈরি করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়। এদেশে জঙ্গিবাদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ। সরকার ব্লকরেড আর গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে।
তিনি বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না নুরুল হক নুর, টুকু ও আমিনুলরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদের সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন। শিশু-কিশোরদের আটক করতেও দ্বিধা করে না তারা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নিয়ে নাটক সাজানো হয়েছে। নাহিদের পায়ে খবরের কাগজ রেখে বিবৃতি পড়ানো দেখেই বোঝা যায় নির্যাতনের চিত্র। সমন্বয়কদের অভিভাবকদের ডেকে খাবার খাওয়ানোর নাটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণের আন্দোলনকে কেউ কোনোদিন রুখে দিতে পারেনি। ছাত্রদের প্রতি স্যালুট, যারা পথে নেমে এসে রক্ত দিয়েছে। তবে সরকার মোড়লদের মতো ছাত্রদের হত্যা করে তাদের পরিবারকে টাকা তুলে দেয়।
তিনি আরও বলেন, ডিবি কার্যালয়ের কাজ কি আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা? তারা (ডিবি) মশকরা সৃষ্টি করেছে। এমন মশকরা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গেও হয়েছিল। কোনো দলের না হয়ে, প্রজাতন্ত্রর কর্মচারী হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর কাজ করা উচিত।
এসি//