রাজনীতি

জামায়াত–শিবিরকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয় : সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

জামায়াত–শিবিরকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয় : সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয়, দেশকে সুস্থ, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করতে সরকার, গণসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। বৃহস্পতিবার ( ১ আগস্ট ) জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামায়াত-শিবিরকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে আগেই চিহ্নিত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।  দলটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার স্বাধীনতার বিরোধিতা, গণহত্যা এবং ধর্মের অপব্যবহারে অংশ নেওয়ার জন্য দলটিকে নিষিদ্ধ করেছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সরকার ১৯৭৯ সালে  দলটিকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান করেছিলো। বিভিন্ন ভাবে  প্রতিরোধ করেছে। ৫৩ বছরের পুরণো দলটির নীতি-আদর্শে কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এদিকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় এক বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। তারা বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ছাত্র–জনতার দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের বিজয় হলো। জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি তাদের সংগঠনের সকল পর্যায়ের সদস্যদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করার দাবিও জানিয়েছে জাসদ। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি। অপর দিকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ’৭১। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছেন, শুধু রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করলেই চলবে না, জামায়াত-শিবিরের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে। জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন জামায়াতশিবিরকে | নিষিদ্ধ | করাই | শেষ | কথা | | সেক্টর | কমান্ডারস | ফোরাম