দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারে বাঁধ ভেঙে সড়কে পানি, তলিয়েছে বসত ঘর

বায়ান্ন প্রতিবেদন

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে বাঁধে ভাঙন ধরেছে। জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর,আঞ্চলিক মহাসড়ক,গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি উঠে ৪ উপজেলার সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল।

জানা যায়, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী,কমলগঞ্জ,রাজনগর,কমলগঞ্জ,বড়লেখা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। মনু নদীর বাঁধের ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে।

কদমহাটা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মুনায়েম কবির জানান, ২০১৮ সালে মনু নদীর ভাঙনে একই জায়গায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এ বছর একই জায়গায় বাঁধ ভেঙেছে। যদি এই বাঁধটি আগে সঠিকভাবে দেওয়া হতো তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটতো না। স্থানীয়রা পানিবন্দি হতেন না।

সাবেক এ ইউপি সদস্য বলেন,  পানির তীব্র স্রোতের কারণে বন্যা কবলিতরা বাড়ি থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারছেন না। জনপ্রতিনিধিরা সেনাবাহিনীকে বলেছেন স্পিড বোটের মাধ্যমে  উদ্ধার করার জন্য। সেনাবাহিনী বলেছে তারা উদ্ধার কাজ চালাবে।

 জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যায় ২১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে ১৬টি, আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন, মেডিকেল টিম রয়েছে ২৫টি।

প্রসঙ্গত, যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বন্যা | মৌলভীবাজার