বিনোদন

পারিশ্রমিকের টাকা বন্যার্তদের সহায়তায় দিচ্ছেন শিল্পী-কলাকুশলীরা

বায়ান্ন প্রতিবেদন

তানহা তাসনিয়া, রিমু রোজা খন্দকার, সঙ্গীত শিল্পী সালমা ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান ভয়াবহ বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপদগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মানুষ। বিপর্যস্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে সারাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গনের বিভিন্ন তারকা এগিয়ে এসেছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্পী-কলাকুশলীরা বন্যাদুর্গতদের সহায়তায় অর্থ ও উপকরণ সংগ্রহ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গেলো বৃহস্পতিবার প্রখ্যাত অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়া ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন, তিনি তার দুদিনের শুটিংয়ের পারিশ্রমিক বন্যার্তদের সাহায্যে প্রদান করবেন। শুটিংয়ের সময় ফেসবুকে বন্যার্তদের কষ্টের ছবি দেখে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন। 

তাহনা শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, আগে থেকে শিডিউল দেয়া ছিল, তাই শুটিং করতে হচ্ছে। শুটিং বাতিল করলে সমস্যা হতো। কারণ যেসব দৃশ্য করা হচ্ছে, তার সঙ্গে অনেক শিল্পী জড়িত। শুটিং করছি, কিন্তু শুটিংয়ে মন নেই। ফোনটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে গেলে বানভাসি মানুষের করুণ দৃশ্যের ভিডিও দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

তানহা আরও বলেন, এবার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আক্রান্ত মানুষের কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। খাওয়ার সময় মনে পড়ছে। ঘুমাতে গিয়ে ঘুমাতে পারছি না। দুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের মুখ ভেসে উঠছে। আমি তো তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। তাই যে দুদিন শুটিং করছি, তার পারিশ্রমিক আমারই পরিচিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দিয়ে দিচ্ছি।

সঙ্গীত শিল্পী সালমা তার চলতি মাসের সমস্ত গানের পারিশ্রমিক বন্যার্তদের সাহায্যার্থে দান করেছেন। সালমা ফেসবুকে লেখেন, আমার রেকর্ডিং করা গানের পারিশ্রমিকের পুরোটাই বন্যার্তদের সাহায্যার্থে  দিয়ে দিলাম। ইনশা আল্লাহ এই খারাপ পরিস্থিতি চলাকালীন যতগুলো কাজ করব, সবগুলোর পারিশ্রমিকই যুক্ত হবে বিপদগ্রস্ত মানুষের কল্যাণ তহবিলে।

ছোট পর্দার অভিনেত্রী রিমু রোজা খন্দকারও তার দুটি নাটকের পারিশ্রমিক মানবিক ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দিয়েছেন। রিমু তার ফেসবুক পেজে লেখেন, “আমি সরাসরি বন্যার্তদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারি না, কিন্তু আমার পারিশ্রমিকটি তাদের সাহায্যে দিচ্ছি। দুই দিন শুটিং করেছিলাম, সেই পারিশ্রমিক বন্যার্তদের জন্য একটি সংস্থাকে দিয়ে নিজের ওয়াদা রাখতে পারলাম, আমিন। ভবিষ্যতে আরও নাটকের পারিশ্রমিকও বন্যার্তদের সাহায্যে দেব।

রিমু আরও বলেন, আমি তখন ছোট। আমার মা নায়িকা টিনা খান তখন বেঁচে ছিলেন। ১৯৮৮ সালের বন্যায় আমার মাসহ চলচ্চিত্র শিল্পীরা মিলে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করে বন্যার্তদের জন্য ফান্ড গঠন করেছিলেন। আমার বাবাও একজন সেনা অফিসার ছিলেন, তিনিও এভাবে মানুষকে সহযোগিতা করতেন। বাবা–মায়ের এমন কাজ আমাকে উদ্বুদ্ধ করে।

বিনোদন অঙ্গনের এসব তারকার মানবিক উদ্যোগ বন্যার্তদের জন্য আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দেশের বিত্তবানদেরও বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।

জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বন্যার্তদের সহায়তায়