দেশজুড়ে

৪৬টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা

বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে দিনভর উত্তাল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী ও সাভারের আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় টঙ্গী ও আশুলিয়া এলাকায়  ৪৬টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার ৩৫টি ও টঙ্গী এলাকার ১১টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম ও গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন

সরোয়ার আলম জানান, আশুলিয়া এলাকায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছে চাকরির দাবিতে। এছাড়াও পোশাক কারখানায় নারী-পুরুষের সমানুপাতিক হারে নিয়োগের দাবিসহ আরও কয়েকটি দাবি রয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কটি থেকে অবরোধ মুক্ত করা গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের দুই পাশে অবস্থিত কারখানাগুলোর মধ্যে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

অপরদিকে গাজীপুরের টঙ্গীর বিসিক এলাকায় চাকরিচ্যুত তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার গেটে অবস্থান নেয়। চাকরিতে বৈষম্য নিরসন ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করতে থাকে। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানায় তারা। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরা আন্দোলনকারীদের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা ওই ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।

নিজ কারখানায় ভাঙচুর ঠেকাতে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ভাঙচুর এড়াতে ওই কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত,বিরাজমান পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী,পুলিশ ও শিল্প পুলিশ সোমবার  রাতেই ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে যৌথ অভিযান শুরু করবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।

 আই/এ

 

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পোশাক কারখানা