বড়পর্দায় থেকে বিগত কয়েক বছর রাজনীতির মাঠেই বেশি সক্রিয় ছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। নিজেকে একজন আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন এই চিত্রনায়িকা। নৌকার মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচনে হয়েছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এদিকে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আতঙ্কে আছেন আওয়ামীপন্থী শিল্পীরা। অনেকেই আছেন আত্মগোপনে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন শিল্পীর বিরুদ্ধেও মামলাও হয়েছে। সেই আতঙ্কে আছেন মাহিয়া মাহিও। শোবিজপাড়ায় এখন এমন কথাই রটেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে মাহি বলেন, ‘আমি কেন ভয়ে থাকব? আমি এমন কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, যার কারণে আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আমি সব সময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আপনারা খোঁজ নিলেই তা জানতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি দেশের বাইরে গিয়েছিলাম। আপনারা জেনেছেন, বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীরা- ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আমার রিপোর্ট ভালোভাবে চেক করেছেন। এরপরই তারা আমাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। এখন আমার নামে যদি কোনো বাজে রিপোর্ট থাকত, তাহলে কি তারা আমাকে দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিত। অবশ্যই না। ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আমি একটি দলকে সাপোর্ট করতেই পারি। তবে সেই দলের হয়ে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছি কিনা এটা দেখার বিষয়। আমি এটুকু বলতে পারি, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না ও এখনও নেই।’
আতঙ্কে থাকার প্রসঙ্গে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘মামলা, অভিযোগ যে কেউই করতে পারে। এখন যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা বা অভিযোগ করে- সেখানে আমি কি বলব। যত অভিযোগই আসুক না কেন নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমাকে কেউ অভিযুক্ত করতে পারবে না। কারণ আমি এমন কোনো অন্যায় করিনি।’
এসআই/