কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন না হলে ব্যর্থ হবে জাতি। বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে শিক্ষক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয় ধরে রাখতে না পারলে সবকিছু ব্যর্থ হবে। দুইবার গণতন্ত্র হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৫৩ বছর পরও দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো জাতিকে উপরে উঠতে গেলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সেই শিক্ষা আসে পড়াশোনা থেকে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গেলো ১৬ বছর আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের পুলিশের মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় যারা নির্যাতিত হয়েছে এসব মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। এসব মিথ্যা মামলা যেন নিষ্পত্তি হয়ে যায় এজন্য সবাইকে জোর গলায় কথা বলতে হবে। আমাদের নিজেদের ভাগ্য আমাদের নিজেদেরকেই তৈরি করতে হবে, দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, আমরা তাকে সময় দিচ্ছি এবং দেব। আমরা সে পর্যন্ত তাদের সময় দেব, যৌক্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা করতে যে সময় লাগে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমরা আবার মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ দেখতে চাই না। আমরা সুস্থ ও উদারপন্থি গণতন্ত্র দেখতে চাই, এজন্য তাদের সঠিক মানুষ মনে করে দায়িত্ব দিয়েছি।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া।
ফখরুল বলেন, পারিবারিকভাবে আমরা শিক্ষক পরিবার। আমার বাবা, আমি, আমার বড় বোন, আমার ছোট বোন শিক্ষকতা করেছি। আমাদের পরিবারের ৯০ শতাংশ মানুষ শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত। একারণে আপনাদের সমস্যা আমরা বুঝি, সে কারণেই আপনাদের জন্য কথা বলতে আমরা দ্বিধাবোধ করি না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম, তারা অত্যাচার করেছিল, গুলি করে লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। পাকিস্তানি বাহিনী কী পরিমাণ নৃশংসতা চালিয়েছিল সেটা আমি জানি। আমি এটা ভুলতে পারি না। কারণ আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম।
তিনি বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা সেই গণতন্ত্রকে বার বার ধ্বংস করেছি। যারা দাবি করেছিল তারা গণতন্ত্রের পুরোধা, তাদের কারণেই দুইবার এই গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। তারপর থেকে পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র চর্চা যেন না হয়, মানুষের মৌলিক অধিকারের দাবি যেন করতে না পারে সে জন্য গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখন আমরা বের হয়ে আসছি, আমাদের এই দাবি মানতে হবে, ঐ দাবি মানতে হবে। আগে কিন্তু আমরা বের হতে পারিনি। আপনারা বলবেন, আমাদের বের হতে দেওয়া হয়নি। ছাত্রদেরকেও বাধ্য করা হয়েছিল চুপ থাকার জন্য। আমাদেরও বার বার জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি।
জেএইচ