দেশের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ৫০ লাখ ডিম আমদানির সরকারি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় চালানে ভারত থেকে এসেছে মুরগির ডিম। আমদানি করা দুই লাখ ৩১,৮৪০ পিস ডিম দেশে এসেছে। আমদানি করা এসব ডিম প্রতিপিস সাড়ে সাত টাকা মূল্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) যশোরের শার্শার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ডিম দেশের অভ্যন্তরে পৌঁছায়।
বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা এক হাজার ১০৪ প্যাকেজ ডিমের ইনভয়েস মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ০.৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা। এছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩% কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৮৩ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকার মতো।
ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সল্যুশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হবে। তাছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, ডিমের চালানটি আজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩% কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিম আমদানির এই চুক্তি হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তখন ৫০ লাখ ডিম আমদানির ঘোষণা দেয়া হয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করা হয়। এরপর গত ৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় চালানে দুই লাখ ৩১,৮৪০ পিস ডিম আসে।
এএম/