নির্বাচন কমিশনের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনার তদন্তে পুলিশ ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম রয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্য চুরির ঘটনায় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি আছে। এর বাইরে আরও ১৫ থেকে ২০ জন আসামি আছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে এ কাজের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, নাগরিকদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদের তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। এতে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত আছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যারা জড়িত ছিল তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিক্ন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে যে তথ্যগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর করেছে সেটা কোন আইনে, কিসের মাধ্যমে, কি স্বার্থে করেছে সেটা উদঘাটন করা হবে।
ডিসি বলেন, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সভা গ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তির দুই অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পারবে না। সেটি লঙ্ঘন করে কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকনের সহায়তায় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। কারা কিভাবে লাভবান হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখছি।
এএম/