বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর সব শেষ হয়ে যায় না। বিয়ে আসলে এক নতুন জীবনের সূচনা। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে ভালোবাসা, পারস্পরিক সমঝোতা আর সততাই প্রধান উপাদান।
চলুন জেনে নেই কিছু সহজ টিপস, যা আপনাদের দাম্পত্য জীবনকে করবে আরও মধুর।
১. সম্পর্কের শুরু থেকেই সৎ থাকুন। সঙ্গী আপনাকে আপনার প্রকৃত রূপেই ভালোবাসবে, ভান করা সত্তার জন্য নয়।
২. সংসারের কাজ ভাগ করে নিন। বিশেষ করে দুজনই চাকরিজীবী হলে, সংসারের দায়িত্ব ভাগ করে নিলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে।
৩. হাস্যরস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন মুহূর্তে মজার কিছু বললে সঙ্গীর মন ভালো হবে।
৪. সঙ্গীর বিরক্তিকর অভ্যাস নিয়ে তর্ক না করে সমাধান খুঁজুন। মনে রাখতে হবে, বোঝাপড়াই সব।
৫. প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট একে অপরের সঙ্গে কাটান। এটা হতে পারে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা বিশ্রামের সময়।
৬. বাস্তববাদী হোন। কোনো মানুষই সম্পূর্ণ নিখুঁত নয়। ভালোবাসার জন্য দোষ-ত্রুটিকে মেনে নিতে হবে।
৭. ক্ষমার মূল্য অনেক। একে অপরকে ক্ষমা করতে শিখুন এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিন।
৮. ছোট ছোট কাজের জন্যও প্রশংসা করতে দ্বিধা করবেন না। এক টুকরো ধন্যবাদ বা প্রশংসা সঙ্গীর মন ভালো করতে পারে।
৯. ভালো শ্রোতা হন। সঙ্গী যা বলছে তা মন দিয়ে শুনুন। এতে পারস্পরিক বোঝাপড়া গড়ে উঠবে।
১০. সঙ্গীকে সাফল্যের জন্য উৎসাহিত করুন। এতে আপনাদের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
১১. ছোট ছোট মুহূর্তে খুশি খুঁজুন। ভালোবাসার ছোট ছোট প্রকাশও সম্পর্ককে গভীর করে তোলে।
১২. একে অপরের স্থান দিন, স্বাধীনতা দিন। এটা সম্পর্ককে আরও গভীর করে তুলবে।
১৩. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। এ ধরনের খোলামেলা মনোভাব আপনাদের মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তুলবে।
১৪. বাইরে জনসমক্ষে তর্ক না করাই ভালো। তবে, ভালোবাসা প্রকাশে কোনো বাধা নেই।
১৫. সঙ্গীর দুর্বলতা গ্রহণ করুন, আর শক্তিমত্তার জন্য গর্বিত হোন। সম্পর্কের গভীরতাকে মূল্য দিন।
১৬. দিনের শেষে সব ঝগড়া ভুলে যান। নতুন দিনের শুরু হোক এক নতুন প্রত্যয় নিয়ে।
১৭. একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। একটি ছোট্ট টেক্সটও সঙ্গীকে বিশেষ অনুভূতি দিতে পারে।
১৮. ছোট ভুলগুলো নিয়ে হাসুন। অতীতে আটকে থেকে বর্তমান নষ্ট করবেন না।
১৯. সঙ্গীকে আঘাত না করে মৃদুভাবে কথা বলুন। শব্দের সংযম সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
২০. মাসে অন্তত একটি সন্ধ্যা নিজেদের জন্য রাখুন। এতে সম্পর্কের রোমান্স বেঁচে থাকবে।
জেডএস/