তথ্য-প্রযুক্তি

স্পেসএক্সের ঐতিহাসিক সাফল্য: স্টারশিপ বুস্টার ধরল ‘চপস্টিক্স’ দিয়ে

তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক

স্পেসএক্সের স্টারবেস সাইটে ৪০০ ফুট লম্বা স্টারশিপ ছবি: টেক ক্রাঞ্চ

বিশ্বজুড়ে স্পেসপ্রেমীদের মধ্যে আবারও আলোচনায় এসেছে মহাকাশ যান স্পেসএক্স।  রোববার (১৪ অক্টোবর) সকালে প্রতিষ্ঠানটির বৃহত্তম রকেট স্টারশিপ বুস্টার মাটিতে সফলভাবে ফিরে এসেছে।  শুধু তাই নয়, এবার চপস্টিক্স’ যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতে অবতরণ করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ইলন মাস্কের এই প্রতিষ্ঠানটি। এই পরিক্ষামূলক উৎক্ষেপণটির একটি সফল প্রদর্শনী করেছে স্পেসএক্স।  খবর টেক ক্রাঞ্চ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের দক্ষিণ-পূর্বে স্পেসএক্সের স্টারবেস সাইটে এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হয়।  প্রায় ৪০০ ফুট লম্বা স্টারশিপ হচ্ছে স্পেসএক্সের মহাকাশযাত্রার ভবিষ্যত পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু।  যার মাধ্যমে স্পেসএক্স  পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহেও মানুষের স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করেছে। এছাড়াও নাসার ‘আর্তেমিস’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।

স্পেসএক্স চায় স্টারশিপ পুরোপুরি পুনঃব্যবহারযোগ্য হোক।  এজন্য তারা বুস্টার সহ স্টারশিপের উভয় ধাপকে ফিরে পেতে এবং দ্রুত আবার ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করতে চায়।  এই লক্ষ্য নিয়ে, পঞ্চম এই ফ্লাইটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল দুটি।  প্রথমটি হলো-একদিকে বুস্টারকে নিরাপদে ধরতে সক্ষম ‘চপস্টিক্স’ দিয়ে এটিকে নামানো, আর দ্বিতীয়টি হলো-স্টারশিপের সফল রি-এন্ট্রি এবং ভারত মহাসাগরে সঠিকভাবে স্প্ল্যাশডাউন করানো।

এই নতুন বুস্টার ধরা প্রযুক্তি সত্যি বলতে ফ্যালকন ৯ এর স্বয়ংক্রিয় বার্জ ল্যান্ডিংয়ের একটি নতুন অধ্যায়।  পরীক্ষার সময় বুস্টারটি ধীর গতিতে ফিরে আসে এবং ‘চপস্টিক্স’ বাহুগুলোর ভেতর ধীরে ধীরে নিজেকে স্থির করে।  এরপর বাহুগুলো বুস্টারকে ধরে রেখে মোটরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর এটি নির্ধারিত স্থানে নিরাপদে অবস্থান নেয়। 

স্পেসএক্সের মতে, টেস্ট ফ্লাইটগুলো যত দ্রুত এবং নিরাপদে চালানো যাবে, তত দ্রুত স্টারশিপ মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুত হবে। তাদের আশা, একদিনে এই পুনঃব্যবহারযোগ্য ডিজাইন মহাকাশে যাওয়ার উপায় পরিবর্তন করবে।

স্পেসএক্স জানিয়েছে, স্টারশিপের পূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য ডিজাইনটির পরীক্ষা তাদের মূল লক্ষ্য। এতে হার্ডওয়্যারকে বাস্তব ফ্লাইটে কাজে লাগানো ও নিরাপদে নিয়ে আসার মাধ্যমে মহাকাশ অভিযানের খরচ কমানো সম্ভব হবে। আর এই ঐতিহাসিক টেস্ট ফ্লাইটটির মাধ্যমে তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।

 

 জেডএস/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন স্পেসএক্স