আজমেরী হক বাঁধনের নামটা শুনলেই এখন চোখে ভেসে ওঠে এক প্রতিভাবান অভিনেত্রীর ছবি। অভিনয়ের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে সেবা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিঃস্বার্থভাবে নিয়োজিত রেখে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি।
১৯৮৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন বাঁধন। তবে বাবার চাকরির কারণে দেশের নানা প্রান্তে তার শৈশব কেটেছে। রাজবাড়ী থেকে ভোলা সবখানেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। এ বছর ৪০ পেরিয়ে ৪১ বছরে পা দিলেন বাঁধন। এই বিশেষ দিনে নিজের অভিজ্ঞতা ও জীবনদর্শন শেয়ার করে জানালেন, বয়স তাঁর কাছে কোনো বাঁধা নয়; বরং তিনি যেন নতুন জীবন শুরু করলেন!
জন্মদিনের প্রথম প্রহরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, তাঁর জীবনযাত্রা কতটা চ্যালেঞ্জিং আর সংবেদনশীল ছিল। কখনও জয়, কখনও ব্যর্থতা, কখনও হাসি-কান্না আর নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কেটেছে তাঁর ৪০ বছরের যাত্রা। কিন্তু আজকের বাঁধন সেই সবকিছুই মেনে নিয়েই এগিয়ে চলেছেন। তার কথা, “এই জীবনটা মাত্র শুরু।”
বাঁধন আরও জানান, নিজেকে নিয়ে তিনি গর্বিত। নিজের আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হবেন না তিনি। সবসময় নিজেকে নতুন কিছু শেখার জন্য নিবেদিত রেখেছেন এই অভিনেত্রী।
বছরের শুরুতে শোনা গিয়েছিল, টলিউড নির্মাতা প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের অ্যান্থোলজি ফিল্ম ‘ফেয়ার অ্যান্ড আগলি’র একটি গল্পে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন বাঁধন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, ‘যখন আমি চুপ থাকি, এর মানে নিশ্চয়ই নতুন কিছু আসছে। শুধু অপেক্ষা করুন।’
বাঁধনের এই নতুন পথচলা শুধুমাত্র অভিনয়ে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি নারী ও শিশুদের কল্যাণে নানা কাজ করছেন, আর ছাত্রদের আন্দোলন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রেখেছেন।
উল্লেখ্য, বাঁধনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। এরপর নাটক, টেলিফিল্ম ও সিনেমায় একের পর এক অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছেন। তাঁর অর্জনের মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও রয়েছে।
জেডএস/