একটা ফ্যাসিস্ট রেজিম চলে গেলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা শুধু অন্তর্বর্তী সরকারের এজেন্ডা নয়, এটা অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে সাংবাদিক এহসান মাহমুদের একটি বইয়ের পাঠ আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ এতদিন যা করেছে, তা রাজতন্ত্রের আদলে পরিবারতন্ত্র। মানবাধিকার বলতে যা বোঝায় তা একদমই ছিলো না। কোনও সাংবাদিক দেখা যেতো—একটা কলাম লেখায় ওই পত্রিকা অফিসেই আর তার কাজ করার সুযোগ থাকতো না। টেলিভিশনে বলে দেওয়া হতো কারা কারা যাবে। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিলো।
লেখক এহসান মাহমুদের বইয়ের সঙ্গে বর্তমানের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার মধ্যে অর্থনৈতিক চাহিদা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য বিশাল একটা গ্যাপ রয়েছে। অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে, পাওনা দিতে হচ্ছে, তারপর নতুন ঋণ নিতে হচ্ছে। এই বিশাল গ্যাপ রেখে তিন মাসে আকাঙ্ক্ষা পূরণ চাইলেও সম্ভব না। তবে সরকার সবার সহায়তায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সম্মানজনক অবস্থায় উত্তরণ করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের কমান্ড শুনতে অভ্যস্ত তাই নতুন পরিবেশে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডিমোরালাইজড হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা আছে, বিপুল আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। নেগেটিভ এনার্জি বিকিরণ করেছে বিগত সরকার। বর্তমান সরকারও এতে বিভ্রান্ত হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
আই/এ