শারীরিক সম্পর্কের পর চুক্তির টাকা দিতে না পারায় চুয়াডাঙ্গার টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নীকে হত্যা করেছে দুই যুবক। এ ঘটনায় মানিক ও স্বপন নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) হত্যার রহস্য উদঘাটনের পর এ তথ্য জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান।
জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে শারীরিক সম্পর্ক করতে টিকটকার খালেদা আক্তার মুন্নীর সঙ্গে চুক্তি করে ওই দুই যুবক। চুক্তি অনুযায়ী ওই দিন সন্ধ্যার পরপরই চুয়াডাঙ্গা সদরের পিটিআই মোড়ে অপেক্ষা করতে থাকেন মুন্নী। স্বপন মোটরসাইকেল যোগে মুন্নীকে নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামের নিকটবর্তী বোয়ালমারী শ্মশান মাঠের একটি পানবরজে। সেখানে মুন্নীর সঙ্গে প্রথমে স্বপন ও পরে মানিক শারীরিক সম্পর্ক করে।
পরবর্তীতে চুক্তির ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে দুজন মিলে মুন্নীকে ৫ হাজার টাকা ধরিয়ে দেয়। এতে মুন্নী ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মুন্নীকে হত্যা করে বরজের ঝোঁপের ভেতর লাশ রেখে পালিয়ে যায় তারা। হত্যার পর মুন্নির মোবাইল নেয় স্বপন এবং স্বর্ণের আঙটিসহ অন্য জিনিসগুলো নেয় মানিক।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি জানান, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে হাজরাহাটি গ্রামের মাঠ থেকে মানিক ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ নভেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি-বোয়ালমারী গ্রামের মাঝামাঝি স্থান থেকে খালেদা আক্তার মুন্নীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের মৃত খোয়াজ আলীর পরিতক্ত্যা মেয়ে।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মনিক চুয়াডাঙ্গা সদরের হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলীর ছেলে এবং পারভেজ মহসিন ওরফে স্বপন একই এলাকার মহিদুল ইসলামের ছেলে।
আই/এ