জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় অভিযুক্ত বাদী কুলসুম বেগমসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে কক্সবাজার থেকে তাদেরকে আটক করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি তদন্ত) কামাল হোসেন।
তিনি জানান, রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারে অভিযান পরিচালনা করে এদের আটক করা হয়। এ সময় রুহুল আমিন ও শফিকুল নামের দুই জনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তারা আশুলিয়া থানায় রয়েছে।
জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম তার জীবিত স্বামী মো. আল আমিন মিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়,৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার স্বামী মো. আল আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন। এ অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনকে আসামি করা হয়। পরে এটি ৮ নভেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত হয়।
মূলত ৫ আগস্ট গুলিতে আশুলিয়া এলাকায় অর্ধ শতাধিক নিহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ বেওয়ারিস দাফন করা হয়। সেই লাশকে আল-আমিন বানিয়ে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী।
আল-আমিনের স্ত্রী কুলসুম বেগম গণমাধ্যমকে বলেন,তার স্বামীর বাড়ি সিলেটে। সেখান থেকে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়ি সিলেট থেকে সাভারে আসেন গত ২৮ আগস্ট। তার স্বামী ভরণপোষণ না দেওয়ায় সাভারে এসে চাকরির খোঁজ শুরু করেন। এসময় গাড়িতে পরিচয় হয় শফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির সাথে। তিনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে তার কাছে জন্ম নিবন্ধন চেয়ে নেয়। পরে একদিন সাভারের সেনা শপিং কমপ্লেক্সে শফিকুর রহমান ও রুহুল আমিন তাকে ডেকে নেয়। পরে তারা জন্ম নিবন্ধন দিয়ে মামলা প্রস্তুত করেছে বলে তাকে জানায়।
কুলসুম রাজি না হলে নানা রকম ভয়ভীতি দেখায় তারা। পরে তারা আদালতে নিয়ে উকিলের সামনে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। রুহুল ও শফিকুর তাকে ব্ল্যাকমেইল করে যা বলেছে তাই করতে বাধ্য করেছে।
এ মামলার নৈপথ্যে রুহুল ও শফিকুর রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
আই/এ