শর্ত সাপেক্ষে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নেয়ার ঘণ্টা খানেক পরে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়।
এর আগে গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনরোষের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। সেই অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তখন তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোবারক হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন মুন্নী সাহাকে ঘিরে ধরে। ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেয় তার বিরুদ্ধে।
এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এমনটা করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবির একটি সূত্র। অসুস্থতাসহ নানা দিক বিবেচনায় জামিন নেয়ার শর্তে মুন্নি সাহাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
বর্তমানে মুন্নী সাহা ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক। ৫ আগস্টের পর হত্যাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে মুন্নী সাহা মানুষকে ভুল বুঝিয়েছেন—এমন অভিযোগ তোলেন কারওয়ানবাজারে উপস্থিত জনতা।
গেলো ১৯ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নায়েম হাওলাদার (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হন। ওই ঘটনায় ২২ জুলাই ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়। আসামি তালিকায় মুন্নি সাহাসহ সাতজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে।
নায়েমের বাবা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বাকি ছয় সাংবাদিক হলেন—একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এডিটর-ইন-চিফ মোজাম্মেল হক বাবু, টেলিভিশনটির সাবেক চিফ নিউজ এডিটর (সিএনই) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সময় টেলিভিশনের পরিচালক আহমেদ জোবায়ের, একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট ফারজানা রুপা, সাবেক হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও শেখ হাসিনার প্রেস সেক্রেটারি নাঈমুল ইসলাম খান।
এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে মোজাম্মেল বাবু, ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এসি//