অভিযানের সময় পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছে চট্রগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ (২৫)। এসময় গুলিতে আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন।
বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড় জালালাবাদ সিএনজি পেট্রল পাম্পের পাশে ইউনুস টাওয়ার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ইউনুস টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে সাজ্জাদ হোসেনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ভোর ৪টার দিকে নগর পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও চান্দগাঁও থানা পুলিশ। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে সাজ্জাদ।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়ে। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ে স্থানীয় জাবেদ ও কাজল দে গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন পুলিশ সদস্য ফায়াজ ও রাজু। উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে পালিয়ে যান সাজ্জাদ।
জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলোচিত এইট মার্ডার মামলার দণ্ডিত আসামি। ২০০০ সালে একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান তিনি। তবে নগরীর বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী এলাকায় এখনও কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমি বেচাকেনা করলেই চাঁদা দাবি করেন সাজ্জাদ। চাঁদা দিতে গড়িমসি করলে শিষ্যদের দিয়ে হামলা করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর কালারপুল এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালান সাজ্জাদ। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাসে এসে দিবালোকে গুলি করে আফতাব উদ্দিন তাহসীন (২৬) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে আবারো আলোচনায় আসে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন খানের নাম।
আই/এ