জাতীয়

পাইপলাইনে তেল আসবে ঢাকায়, বছরে সাশ্রয় ২৩৬ কোটি টাকা

চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ। আগামী মার্চ থেকে পুরোপুরিভাবে এ লাইন চালু করা হবে। আর এতে বছরে সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এর পরিচালক (অপারেশন ও পরিচালন) অনুপম বড়ুয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিপিসির কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জ্বালানি তেল পরিবহন খরচ কমবে। নির্বিঘ্ন হবে সরবরাহব্যবস্থাও। পরিবেশদূষণও রোধ করা সম্ভব হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে সরবরাহ করা হবে ২৭ লাখ টন ডিজেল। বর্তমানে দেশে বছরের ২১ দশমিক ৪০ লাখ টনের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে প্রকল্পের মেয়াদ এবং ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মূল কাজ শুরু হওয়ার পর প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এসব পরিবর্তন সংযোজন করে অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালে। এরপর ওই বছর নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে প্রায় এক বছর কাজ বন্ধ ছিল। ফলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চার বছর লাগল।

ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে এই প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রকল্পের ৯০ শতাংশ সরঞ্জাম ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানিপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। ডলার ও সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে।

প্রকল্পের নথিপত্র অনুযায়ী, পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশটি গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত। পাইপলাইন ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় বুস্টার পাম্প, ৯টি জেনারেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।

এতে আরও বলা হয়,  প্রতিবছর প্রকল্প থেকে ৩২৬ কোটি টাকা আয় হবে। পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ, ফুয়েল, বিদ্যুৎ বিল, জমির ভাড়াসহ আরও কিছু খাতে ব্যয় হবে ৯০ কোটি টাকা। তাতে প্রতিবছর সাশ্রয় হবে ২৩৬ কোটি টাকা। বিনিয়োগ উঠে আসবে ১৬ বছরের মধ্যে।

অনুপম বড়ুয়া বলেন, জানুয়ারিতে প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। এরপর জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। মার্চে শুরু হবে জ্বালানি তেল পরিবহন।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন পাইপলাইন