কক্সবাজারে স্বামী কারাগারে থাকার সময়ে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে ঘরের সম্পদ লুট করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. মাসুদ করিম (৫০) নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রুপা বেগম (৩৫) এবং স্ত্রীর কথিত প্রেমিক মো. রিয়াদ (২৬)—এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী মাসুদ করিম এ তথ্য জানান। লিখিত অভিযোগে তিনি দাম্পত্য জীবন ধ্বংস, আর্থিক ক্ষতি এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হওয়ার কথা উল্ল্যেখ করেছেন।
তিনি জানান, একটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগারে ছিলেন। সেই সময় তিনি অসুস্থ হলে কারাগারের হাসপাতালের বেডে থাকার জন্য ১২ হাজার টাকা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী কারাগারে যান।
সেই সুবাদে জেল সুপারের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও কারারক্ষী মো. রিয়াদের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই পরিচয় একপর্যায়ে পরকীয়ায় রূপ নেয়।
মাসুদ করিম আরও অভিযোগ করেন, গত ৩০ আগস্ট রিয়াদ, রুপা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান কক্সবাজারের হোটেল হিল টাওয়ারে রাত্রিযাপন করেন। তার বড় ছেলে পুরো বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে।
পরে তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রী ঘর থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, আনুমানিক দুই লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং এক লাখ বিশ হাজার টাকার স্বর্ণালংকারসহ সব মালামাল লুট করে পালিয়ে গেছেন।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্ত্রীর সন্ধানে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রিয়াদের প্ররোচনায় রুপা বেগম তার বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কারারক্ষী রিয়াদ জানান, তার বিষয়ে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। হোটেলে রাত কাটানো দূরের কথা। তিনি কখনো ওই নারীর সাথে কথাও বলেননি। তাদের এক সহকর্মির সাথে ওই নারীর স্বামী মাসুদ ও ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ আছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেলার আবু মুছা বলেন, “রিয়াদ নামের একজন কারারক্ষী কর্মরত আছেন। এমন ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের কাছে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জেল সুপার মো. জাবেদ মেহেদী বলেন, “ভুক্তভোগীর নাম—ঠিকানা পেলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
আই/এ