বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ডা. রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ প্রমুখ।
জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে সমাধিস্থলে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ সময় ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া অন্তরে’, ‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, জিয়া তোমায় ভুলে নাই’ ইত্যাদি স্লোগানে সরব হয়ে ওঠে মাজার প্রাঙ্গণ।
শেরেবাংলা নগরে শ্রদ্ধার্ঘ অনুষ্ঠানে বিএনপি ছাড়াও মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ড্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, শ্রমিক দল, ছাত্র দল, ওলামা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ফুল দেওয়া হয়। দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনাসভা রয়েছে আজ।
উল্লেখ্য, ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাক নাম কমল। ১৯৭১ সালে ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আবারো আলোচনায় আসেন জিয়াউর রহমান। নানা পটপরিবর্তনের একপর্যায়ে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।
এসি//