সুপ্রিম কোর্টে স্বতন্ত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে; এর ফলে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়টি সরকারের নির্বাহী বিভাগের সরাসরি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হলো।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুজন বিচারক (একজন অবসরপ্রাপ্ত ও একজন কর্মরত), হাইকোর্টের দুজন বিচারক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়ে ছয় সদস্যের এই কাউন্সিল গঠন করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এই কাউন্সিলের সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে এই কাউন্সিলে আপিল বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত প্রবীণতম বিচারক, বিচার-কর্ম বিভাগ থেকে নিযুক্ত হাইকোর্ট বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক, চেয়ারপারসনের মনোনীত আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং চেয়ারপারসনের মনোনীত একজন আইনের অধ্যাপক বা আইন বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে এ ধরনের একটা অধ্যাদেশ তৈরি করার প্রক্রিয়া ছিলো, সেই অধ্যাদেশের কপি- সবকিছু পর্যালোচনা করা হয়েছে। সচেতন নাগরিক সমাজ আছেন, যারা স্টেক হোল্ডার আছেন- তাদের সাথে,গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মন্ত্রণালয়য় একটা বড় ধরনের সভা করেছে।
এরপরও মন্ত্রণালয়য় আলাদাভাবে বিভিন্ন এক্সপার্টের কাছে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে সাবেক বিচারপতি আছেন, আইন বিশেষজ্ঞ আছেন, আইনের অধ্যাপক আছেন, আইনের বিশেষজ্ঞ আছেন। সরকার চেষ্টা করেছে, যতটা পারা যায় একটা ভালো আইন করার জন্য।
‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এ বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বিচারকের সংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করলে প্রধান বিচারপতি এই কাউন্সিলের সভা ডাকবেন।
আই/এ