বিনোদন

সেই রাতে মাতাল ছিলেন কারিনা! সমালোচকদের ধুয়ে দিলেন টুইঙ্কেল খান্না

বায়ান্ন বিনোদন ডেস্ক

টুইঙ্কেল খান্না, সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর খান ছবি: সংগৃহীত

গেলো ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা সকলকে অবাক করে দিয়েছিল। ওই ঘটনার পর গেলো ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। পাঁচদিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেন অভিনেতা।

হামলার পর পুলিশকে অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাতে স্ত্রী কারিনা কাপুর খানসহ তিনি শোয়ার ঘরে ছিলেন। হঠাৎ ছোট ছেলের কান্নার আওয়াজ পান। কিন্তু সমাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে নানা কথা চলছে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে।নানান গুঞ্জন ছড়াতে থাকে কারিনাকে নিয়ে।

কারণ টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দুস্তান টাইমসসহ  বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঘটনার রাতে নিজের বান্ধবীদের সঙ্গে হাউজ পার্টি করছিলেন কারিনা কাপুর। ওই পার্টিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিশমা কাপুর, সোনম কাপুর ও রিয়া কাপুর।পার্টি হয়েছিল সোনমের বোন রিয়ার বাড়িতে। সে রাতে পার্টির বেশ কিছু ছবিও নিজের সমাজিক মাধ্যমে দেন কারিনা-কারিশমা। বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই মধ্যরাতেই ঘটে এ অঘটন।

নেটিজেনদের অনেকেই বলতে থাকেন, কারিনা  আসলে  ওই রাতে নেশাগ্রস্ত ছিলেন।  সাইফের সঙ্গে ঘটনার দিন তিনি মাতাল হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে করিনার সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী ও লেখক টুইঙ্কেল খান্না।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, কারিনাকে নিয়ে চলমান এসব সমালোচনা নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে টুইঙ্কেল লেখেন, ‘সাইফ আলি খানের ছুরিকাঘাতের পর অনেকেই এখন আরও বেশি করে সচেতন হয়েছেন। ঘরে ঘরে নিজেদের সুরক্ষ নিয়ে অনেকেই সজাগ থাকছেন। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। তবে সাইফ যখন হাসপাতালে, তখন হাস্যকর কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে হামলার সময় তাঁপ স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।

কিংবা হামলার সময় তাঁকে সাহায্য করার পরিস্থিতি তাঁর ছিল না, কারণ তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন।যেহেতু কোনও প্রমাণ নেই, তাই এই বোকা তত্ত্বগুলিকে থামানো যায়নি। বউয়ের ওপর দোষ চাপিয়ে লোকে আনন্দ পায়।- এটা খুব পরিচিত বিষয়।’

প্রয়াত অভিনেতা রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কেল খান্না আরও লেখেন, ‘স্বামীদের সমস্ত ভুলের জন্য সবসময় স্ত্রীদেরই দোষারোপ করা হয়। টুইঙ্কল লেখেন, এটা একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যদি আপনার স্বামীর ওজন খুব বেশি বেড়ে যায় তাহলে বলা হবে আপনি ওঁর স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন না। যদি সে খুব বেশি রোগা হয়ে যায়, তাহলে লোকে বলবে, আপনি ঠিকমতো খাওয়াচ্ছেন না। আপনার ঘর যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে আপনি অলস। যদি খুব যত্নশীল হন, তাহলে লোকে বলবে আপনি একটি নিয়ন্ত্রণ ফ্রিক। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে হবেন উচ্চাভিলাষী, আপনি যদি তা না করেন তহলে আপনি কোনও কিছুর জন্যই ভাল নন। যদি তিনি আপনার উপর যত্নশীল হন তাহলেও বলবে আপনি নিশ্চয় কারসাজি করছেন। যদি তিনি উদাসীন হয় তহলেও তাঁকে সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য আপনাকেই দোষারোপ করা হবে।'

বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইঙ্কেল লেখেন, ‘গত সপ্তাহে, আমি একটা ছোট পারিবারিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলাম যেখানে একজন আত্মীয় মন্তব্য করেন, দেখো, আমার পাঁচ কাকার মাথায় টাক পড়েছে, আর যার এখনও চুল আছে, একমাত্র তিনিই বিবাহিত নন। আপাতদৃষ্টিতে, তাই টাকের জন্যও স্ত্রীদেরও দায়ী করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে একতা কথা বলা খুব প্রয়োজন প্রত্যেক পুরুষ, তিনি পরাজিত হন কিংবা জয়ী, তাঁদের সকলের পিছনেই কিন্তু একজন নারী রয়েছেন। আর যাই ঘটুক তাঁর নিন্দে হবেই।’

এমআর//