ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে সোমবার থেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের জন্য ইনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বা অভিন্ন দেওয়ানি প্রথা চালু করেছে রাজ্যটির বিজেপি শাসিত সরকার। এর মাধ্যমে এই প্রথম স্বাধীনতার পর ভারতের কোন রাজ্যে এই রকম আইন চালু হলো। দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নতুন আইন অনুযায়ী- বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোন ধর্মের নাগরিকদের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না। শুধু রাজ্যের তফসিলভুক্ত উপজাতিরা এই আওতার বাইরে থাকবেন। এই আইনে নারী ও পুরুষের বিবাহের বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১। পাশাপাশি মুসলিমদের তিন তালাক ও হালালা প্রথা থাকছে না।
এই আইনে ‘লিভ ইন’ সম্পর্ককে বৈধতা দেয়া হয়েছে। নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ২১ বছরের কম বয়সী নারী পুরুষ কেউ যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাইলে অবশ্যই বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে লাগবে। লিভ ইন সম্পর্কে থাকার সময় সন্তানের জন্ম হলে তা বৈধ বলে গণ্য হবে। সেই সন্তানও উত্তরাধিকার সূত্রে মা–বাবার সম্পত্তি পেতে পারবে।
এ বিষয়ে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, বৈষম্য নিরসনের জন্য ইউনিফর্ম সিভিল কোড একটি সাংবিধানিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে নাগরিকদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নারীদের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। এর মাধ্যমে হালালা, শিশুবিবাহ, বহুবিবাহ ও তিন তালাক পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে। তবে তফসিলভুক্ত উপজাতিদের এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে, যেন তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ইনিফর্ম সিভিল কোড কোন বিশেষ ধর্ম বা গোষ্ঠীকে টার্গেট করে করা হয়নি।
এনএস/