ছাত্র-জনতা-শ্রমিক আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার ক্ষমতা ছেড়েছে সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুচেভিচ। নভেম্বরে সার্বিয়ায় দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদত্যাগের কথা জানিয়ে ভুচেভিচ বলেন, উত্তেজনা কমানোর জন্য আমি পদত্যাগের মত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া নভি সাদের মেয়রও পদত্যাগ করবেন। এর মাধ্যমে আমরা বিক্ষোভকারীদের সব ধরনের দাবি মেনে নিয়েছি।
গেলো নভেম্বরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নভি সাদে একটি রেলস্টেশনে ছাদ ধসে ১৫ জন মারা যান। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচের সরকারের দুর্নীতিকে দোষারোপ করে ছাত্র, জনতা ও শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসেন। পরবর্তীতে সরকার বিরোধী আন্দোলন বড় রুপ নেয়।
আদোলনের জেরে দেশটির পরিবহনমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তবে তাদের এ পদত্যাগ আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি।
চলতি সপ্তাহে ছাত্ররা রাস্তায় ব্যারিকেড নিয়ে শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করে আসছিলো। তবে গত সোমবার তিনজন বিক্ষোভকারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। একজন নারী বিক্ষোভকারী মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর এই হামলার জন্য বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়া প্রগ্রেসিভ পার্টিকে দোষারোপ করে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে সার্বিয়ার ক্ষমতায় থাকা মধ্য ডানপন্থী দল সার্বিয়া প্রগ্রেসিভ পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মিলোস ভুচেভিচ।
এনএস/