সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো (কার্যত) নেতা আহমেদ আল-শারাকে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এসব তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সানা জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটি অস্থায়ী আইন পরিষদ গঠনেরও ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আল-শারাকে। এই পরিষদ নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালন করবে। সিরিয়ার নতুন ডি ফ্যাক্টো সরকারের সামরিক অপারেশন বিভাগের মুখপাত্র হাসান আবদেল ঘানি আহমেদ আল-শারাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সময় তিনি দেশের সব সশস্ত্র গোষ্ঠী ভেঙে দেয়ারও ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এসব গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আবদেল ঘানির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সব সামরিক গোষ্ঠী ভেঙে দেয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শাসনামলের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা সংস্থা এবং দশক ধরে সিরিয়া শাসনকারী বাথ পার্টিও ভেঙে দেয়া হয়েছে।
এই ঘোষণাগুলো এসেছে গত মাসে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তড়িৎ অভিযানে যোগ দেয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দামেস্ক বৈঠক শেষে। ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেয়ার পর থেকে আল-শারা সিরিয়ার ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আল-আসাদের অপসারণের পর আল-শারার হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপ সিরিয়ার প্রধান শাসক দল হয়ে ওঠে। তারা বিদ্রোহীদের দখলকৃত ইদলিব প্রদেশে আগে যে স্থানীয় সরকার চালাত, সেই কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে।
আল-শারা একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করার অঙ্গীকার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সম্মেলন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচন। তার মতে, এই প্রক্রিয়া শেষ হতে চার বছর পর্যন্ত লাগতে পারে। তিনি একটি নতুন একীভূত জাতীয় সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা আরব সেন্টারের সিনিয়র বিশ্লেষক রাদওয়ান জিয়াদেহ বলেন, এই ঘোষণাগুলো সামরিক হাত থেকে বেসামরিক হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইঙ্গিত দেয়।
এসি//