ক্যাম্পাস

বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি

রেল ও সড়কপথ অবরোধের ডাক তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের ঘোষণার আল্টিমেটামের সময়সীমা শেষ হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। সড়ক ও রেলপথ এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান,  রোববার থেকে লাগাতার এই কর্মসূচি চলবে। সড়ক ও রেলপথ এর আওতায় থাকবে। তবে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষ্যে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ব্যারিকেড কার্যক্রম শিথিল থাকবে।

গত বুধবার বিকেল থেকে তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এখন পর্যন্ত ১০ শিক্ষার্থী অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি কি?

ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর এক কিংবদন্তীর নাম। তিনি শুধু ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধেই লড়াই করেননি, বাংলার জমিদারদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন, প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাঁর বাঁশের কেল্লা থেকে। তিতুমীরের জন্ম ১৭৮২ সালে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত মহকুমার চাঁদপুর গ্রামে।

তিনি হিন্দু ও মুসলমান কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করেন এবং জমিদার ও ব্রিটিশ নীলকরদের বিরুদ্ধে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে উৎসাহিত করেন। চব্বিশ পরগনা ও নদীয়ার অনেক কৃষক তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে কৃষকদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বারাসাতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। কম্পানির বিরুদ্ধে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদ্রোহ। তিনি চব্বিশ পরগনার কিছু অংশ,নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহ বারাসাতের বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহে তিরাশি হাজার কৃষক সেনা তিতুমীরের পক্ষে যোগ দিয়েছিল।

 

পরবর্তীতে এ বারাসাতেই তিনি বিখ্যাত, বাশের কেল্লা নির্মান করেন। তিতুমীরের সেই আন্দোলনের অনুপ্রেরনা থেকেই শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির নামকরণ করেছেন বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি