আন্তর্জাতিক

'নোংরা খেলায়' মেতেছে নেতানিয়াহু: হামাস

জিম্মি ৬ ইসরাইলিদের ফেরত নিয়ে ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি আটকে দিলো ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আরও ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, কিন্তু বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি আটকে দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে। হামাসের অভিযোগ, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি নস্যাৎ করতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘নোংরা খেলা’ খেলছেন।

আগামী ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই হামাস ও ইসরাইলের আলোচনা মাধ্যমে পরবর্তী পর্যায় নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা ছিল।

গেলো শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ সদস্য বাসেম নাঈম এ অভিযোগ করেন।

বাসেম নাঈম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আবারও এই চুক্তিকে ভন্ডুল ও গুরুত্বহীন করার নোংরা খেলা চলছে। আর এই খেলার মাধ্যমে আবার নতুন করে যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হচ্ছে।’

হামাসের এই নেতার অভিযোগ, ইসরাইল চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করছে। চুক্তির প্রথম পর্যায় কার্যকর থাকার মেয়াদকালে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রতিশ্রুতি মেনে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা গাজায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নেতজারিম করিডর থেকে সেনা প্রত্যাহার স্থগিত রাখা হয়েছিল।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে নেতানিয়াহুকে বন্দিমুক্তির প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করলে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ যুদ্ধবিরতিকে প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। ওই বৈঠকের পর নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাহিনীর সুপারিশ উপেক্ষা করে বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।

শনিবারের (২৩ ফেব্রুয়ারি) জন্য নির্ধারিত বন্দিমুক্তি ছিল যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। মোট ৬২০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, যাদের মধ্যে ১০০ জন নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরী ছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশিরভাগকে গাজা থেকে আটক করা হয়েছিল, এবং তারা ৭ অক্টোবরের হামলা বা গাজার সংঘাতে জড়িত ছিলেন না।

 

মানবাধিকারকর্মীরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে, তারা ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ‘বিনিময়ের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছে।

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইসয়াইল | হামাস | ফিলিস্তিন